অ্যামপ্লিফায়ারকে বায়াসিং-এর ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়, যা সংকেতের ইনপুট এবং আউটপুটের মধ্যে সম্পর্ক অনুযায়ী বিভাজিত। সাধারণত চারটি প্রধান শ্রেণিতে অ্যামপ্লিফায়ারকে ভাগ করা হয়:
১. ক্লাস A অ্যামপ্লিফায়ার:
- বৈশিষ্ট্য: ক্লাস A অ্যামপ্লিফায়ার সর্বদা তার সক্রিয় অঞ্চলে কাজ করে, অর্থাৎ, ইনপুট সিগন্যালের পুরো সময়জুড়ে (৩৬০°) ট্রানজিস্টর অন থাকে।
- সুবিধা: ভালো লিনিয়ারিটি এবং কম ডিস্টরশন।
- অসুবিধা: শক্তি দক্ষতা কম (সাধারণত ২৫-৩০%), এবং ট্রানজিস্টর সর্বদা অন থাকায় বেশি তাপ উৎপন্ন হয়।
২. ক্লাস B অ্যামপ্লিফায়ার:
- বৈশিষ্ট্য: ক্লাস B অ্যামপ্লিফায়ারে ট্রানজিস্টর ইনপুট সিগন্যালের ১৮০° সময় সক্রিয় থাকে। অর্থাৎ, প্রতিটি সিগন্যালের অর্ধাংশ অ্যাম্প্লিফায়ারের মাধ্যমে যায়।
- সুবিধা: শক্তি দক্ষতা বেশি (৭০-৭৫%)।
- অসুবিধা: ক্রসওভার ডিস্টরশন দেখা যায়, কারণ দুইটি ট্রানজিস্টরের মধ্যে একটি ফাঁক থাকে যখন একটি বন্ধ হয় এবং অন্যটি চালু হয়।
৩. ক্লাস AB অ্যামপ্লিফায়ার:
- বৈশিষ্ট্য: ক্লাস AB অ্যামপ্লিফায়ার ক্লাস A এবং ক্লাস B-এর সংমিশ্রণ। এখানে ট্রানজিস্টর ইনপুট সিগন্যালের ১৮০° থেকে বেশি সময় সক্রিয় থাকে, কিন্তু ৩৬০° পূর্ণ নয়।
- সুবিধা: কম ডিস্টরশন (ক্রসওভার ডিস্টরশন কম), এবং ক্লাস A এর তুলনায় ভালো শক্তি দক্ষতা।
- অসুবিধা: শক্তি দক্ষতা ক্লাস B-এর চেয়ে কিছুটা কম, তবে তাপ উৎপন্ন হওয়ার পরিমাণ কম।
৪. ক্লাস C অ্যামপ্লিফায়ার:
- বৈশিষ্ট্য: ক্লাস C অ্যামপ্লিফায়ারে ট্রানজিস্টর ইনপুট সিগন্যালের ১৮০° এর চেয়ে কম সময় সক্রিয় থাকে। এটি মূলত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বা স্পর্শকাতর কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- সুবিধা: খুবই উচ্চ শক্তি দক্ষতা (৮০-৯০%)।
- অসুবিধা: খুব বেশি ডিস্টরশন এবং কম লিনিয়ারিটি, ফলে অডিও অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য এটি উপযুক্ত নয়।
এছাড়াও, ক্লাস D, E, এবং আরও কিছু আধুনিক শ্রেণিবিভাগ রয়েছে, যা ডিজিটাল ও সুইচিং প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
0 Comments