ডায়োডের কী বলতে ডায়োডের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং কার্যক্ষমতার মূল বিষয়গুলোকে বোঝানো হয়। নিচে ডায়োডের গুরুত্বপূর্ণ কী বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:
১. পিএন সংযোগ (PN Junction):
ডায়োডের মূল কাজ পিএন সংযোগের উপর ভিত্তি করে। p-type এবং n-type অর্ধপরিবাহী পদার্থের সংযোগে ডায়োড তৈরি হয়। p-type অংশে হোল এবং n-type অংশে ইলেকট্রন থাকে, যা একমুখী সঞ্চালন কার্যক্রমে সহায়তা করে।
২. বায়াসিং (Biasing):
ডায়োডকে বায়াসিং এর মাধ্যমে দুইভাবে চালানো যায়:
- ফরোয়ার্ড বায়াস (Forward Bias): পজিটিভ ভোল্টেজ p-type এবং নেগেটিভ ভোল্টেজ n-type-এ প্রয়োগ করা হলে ডায়োড স্রোতকে একমুখীভাবে প্রবাহিত হতে দেয়।
- রিভার্স বায়াস (Reverse Bias): পজিটিভ ভোল্টেজ n-type এবং নেগেটিভ ভোল্টেজ p-type-এ প্রয়োগ করা হলে ডায়োড স্রোতের প্রবাহ বাধা দেয়, অর্থাৎ স্রোত প্রবাহিত হয় না।
৩. একমুখী সঞ্চালন (Unidirectional Conduction):
ডায়োড বৈদ্যুতিক স্রোতকে শুধুমাত্র একদিক দিয়ে প্রবাহিত করতে দেয়, সাধারণত ফরোয়ার্ড বায়াস অবস্থায়। এই কারণে, এটি সার্কিটে স্রোত নিয়ন্ত্রণ এবং রেকটিফিকেশন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার হয়।
৪. রিভার্স ব্রেকডাউন (Reverse Breakdown):
যখন ডায়োডের রিভার্স বায়াসের সময় ভোল্টেজ একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে, তখন ডায়োডের রিভার্স ব্রেকডাউন ঘটে এবং স্রোত বিপরীত দিকে প্রবাহিত হতে শুরু করে। কিছু ডায়োড (যেমন, জেনার ডায়োড) এই অবস্থায় কাজ করতে পারে।
৫. রেকটিফায়ার (Rectification):
ডায়োডের সবচেয়ে প্রচলিত ব্যবহার হলো এসি (AC) সিগন্যালকে ডিসি (DC) সিগন্যালের রূপান্তর করা। এটি পাওয়ার সাপ্লাই সার্কিটে ব্যবহার করা হয়, যেখানে এসি ভোল্টেজকে ডিসি ভোল্টেজে রূপান্তর করতে হয়।
৬. প্রকারভেদ (Types):
- সাধারণ ডায়োড (Standard Diode): সাধারণত রেকটিফিকেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- জেনার ডায়োড (Zener Diode): রিভার্স বায়াসে কাজ করে এবং ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক।
- এলইডি (LED): আলো নির্গমন করে।
- শটকি ডায়োড (Schottky Diode): কম ফরোয়ার্ড ভোল্টেজ ড্রপ নিয়ে কাজ করে।
- ফোটোডায়োড (Photodiode): আলো সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
৭. ফরোয়ার্ড ভোল্টেজ (Forward Voltage):
ডায়োডকে সচল করতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোল্টেজ প্রয়োজন হয়। সিলিকন ডায়োডের জন্য এটি প্রায় ০.৭ ভোল্ট এবং জার্মেনিয়াম ডায়োডের জন্য প্রায় ০.৩ ভোল্ট।
0 Comments